আমরা সবাই নিশ্চয়ই সাইমন বলিভারের নাম শুনেছি। উনার নাম শুনে না থাকলেও বলিভিয়া নামক দেশের নাম তো অবশ্যই শুনেছি। শুধু বলিভিয়া নয়, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, পেরু, ইকুয়েডরের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক সাইমন বলিভারের নামানুসারেই বলিভিয়ার নামকরণ করা হয়েছে।
১৭৮৩ সালে তৎকালীন ভেনিজুয়েলার ধনী পরিবারে জন্ম নেয়া সাইমন বলিভার কিভাবে পুরো মহাদেশজুড়ে স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছিল আজ সেই বিষয়ে গল্প বলব না। নিজ পূর্বপুরুষ সাদা চামড়ার অত্যাচারী স্পেনিয়ার্ড সেটেলার হওয়ার পরেও কিভাবে স্পেনের রাজার শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে গেলেন এই বিষয়েও তর্কালাপ করব না। আজকে কথা বলব সাইমন বলিভারের বাল্যশিক্ষা ও তার শিক্ষককে নিয়ে- যা সাইমন বলিভারের মত একজন স্বপ্নদ্রষ্টার ভিত তৈরি করেছিল।
লিটেরালি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেয়া বলিভারের শিশুকাল খুব একটা ভালো কাটেনি। খুব অল্প বয়সেই বাবা মাকে হারানো বলিভারের দায়িত্ব নেয় তার চাচা। চাচা ছিল আবার কুচক্রী, বলিভারের পরিবারের সব সম্পদ ভোগ করাই ছিল তার নিয়ত। নয় বছরের বলিভারকে তার চাচা ভর্তি করিয়ে দেন সাইমন রড্রিগেজ নামের এক শিক্ষকের পাঠশালায়।
এই রড্রিগেজ ছিলেন একজন ভিন্নধর্মী শিক্ষক। তাঁর পাঠশালায় কনভেনশনালি পড়ানো হত না। উনি তার ছাত্রদের দেশ বিদেশ গল্প শোনাতেন, ছাত্রদের সাথে নুয়ে মাটি হাতিয়ে বাগান করতেন, হাতুড়ি পেরেক দিয়ে ছাত্রদের বিসার চেয়ার টেবিল ছাত্ররা নিজেরাই বানাতো, সিলেবাসে থাকা পড়ার বইয়ের বাইরের বই-ই তিনি বেশী পড়াতেন। গল্পের বই পেয়ে সেগুলো ছাত্ররা গোগ্রাসে গিলত। বই পড়ার পর ছাত্রদের সাথে নিয়ে সেই বইয়ের কনটেক্সট নিয়ে নানা রকম আলোচনা করতেন, যেন বইয়ে থাকা প্রচ্ছন্ন ভাবনাগুলো ছাত্ররা ধরার কৌশল রপ্ত করতে পারে। মোট কথা, রড্রিগেজের স্কুল আইডিয়া ছিল লাইফ স্কিল বেইসড ওয়ার্কশপ স্কুল।
একবার কয়েকজন অভিভাবক এসে দেখেন তাদের সন্তানেরা রড্রিগেজের স্কুলে ছুতারের কাজ করছে। এই দৃশ্য দেখে সম্ভ্রান্ত বংশীয়(!) ধনী অভিভাবকেরা বেজায় খাপ্পা হন। রড্রিগেজকে তলব করে উনারা জানতে চান কেন তাদের সন্তানেরা এইসব ছোটলোকের কাজ করছে? রড্রিগেজ তার স্কুলিং আইডিয়া বুঝানোর চেষ্টা করেন। বলাই বাহুল্য এতে তিনি ব্যর্থ হন। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
কিন্তু কিশোর বলিভারের মনে রড্রিগেজ গভীর ছাপ ফেলতে থাকেন। বকিভারের চোখে রড্রিগেজ তখন একজন আইকন। একসময় বলিভার রড্রিগেজের বাসায় থেকে লেখাপড়া করার সুযোগ পান। ফলে রড্রিগেজকে আরও কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। তিনি বলিভারকে তৎকালীন স্বনামধন্য লেখক, দার্শনিক এবং চিন্তাবিদদের কাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পাঠ্যবিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ভলতেয়ার এবং রুশোর প্রবন্ধ। ফরাসি বিপ্লবের পেছনে এই দুই লেখকের অনবদ্য অবদানের কথা তখন বলিভারের অজানা ছিল না। এভাবেই একজন ধনীর দুলালের মনে রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং বিপ্লবী চিন্তাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়ার পেছনে ফাউন্ডেশন তৈরি করতে থাকেন রড্রিগেজ।
কিন্তু কয়েক বছর পর রড্রিগেজের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ ওঠে। স্পেনের ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা সাইমন রদ্রিগেজ প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। ফলে বলিভারের শিক্ষাজীবনের খানিকটা ছেদ পড়ে।
এরপর বলিভারের জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে। বলিভার আর্মি জয়েন করে, উচ্চ শিক্ষার জন্য স্পেনে যায়, টিচারের মেয়েকে বিয়ে করে ভেনিজুয়েলা নিয়ে আসে, ইয়োলো ফিভারে ভুগে অল্পদিনেই বউ মারা যায়, শোকাগ্রস্থ হয়ে আবার ইউরোপ যায়। ইউরোপীয় সমাজের উচ্চমার্গীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে উঠাবসা শুরু করে। এখান একটি হাই সোসাইটি পার্টিতেই তার সাথে পরিচয় হয় বিখ্যাত এক্সপ্লোরার হামবোল্টের সাথে। স্পেনের দক্ষিণ আমেরিকায় শোষন ও সাউথ আনেরিকানদের কোন লিডার না থাকা নিয়ে করা হামবোল্টের একটি খোঁচা বলিভার হজম করতে পারে না। এখান থেকে স্পেনের কবল থেকে নিজ মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার বীজ তার মাথায় ঢুকে যায়।
ঘটনাচক্রে এসময়ে তার বাল্যকালের শিক্ষক সাইমন রদ্রিগেজের সাথে পুনরায় সাক্ষাৎ হয়। দুজনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তর আলাপ হয়। বলিভারের বিপ্লবের ধারণা এবং তত্ত্ব গুরু রদ্রিগেজের মনে ধরে যায়। এবার তারা একটি নাটকীয় ঘটনার জন্ম দেন, যা সাইমন বলিভারের বিপ্লবের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে চিরকাল। ১৮০৫ সালের ১৫ আগস্ট গুরু-শিষ্য মিলে ভ্রমণ করেন ইতালির রোমে। সেখানে মন্টে সাক্রো নামক একটি পাহাড়ে চলে যান তারা। বলে রাখা ভালো, রোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এই পাহাড় স্বাধীনতা এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে বিবেচ্য।
এখানে বলিভার হাঁটু গেড়ে বসে দুই হাত গুরুর হাতে রেখে দৃঢ় চিত্তে শপথ করেন, নিজের দেশকে ভিনদেশীদের হাত থেকে মুক্ত করবেন। এরপর তিনি প্যারিসে ফিরে দেশে পাকাপাকিভাবে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। একসময়ের ধনীর দুলাল বলিভার ১৮০৭ সালে দেশে ফিরে আসে বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত এক নতুন মানুষ হিসেবে।
সংক্ষেপে বলিভারের নায়ক হয়ে উঠার পিছনের নায়ক সাইমন রড্রিগেজের সংক্ষিপ্ত গল্প। এখানেই আসলে তার গল্প শেষ হয়না। স্পেন রাজ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর বলিভার তার মেন্টর রড্রিগেজকে পেরুর পাবলিক এডুকেশন মিনিস্ট্রির দায়িত্ব নিতে বলেন। কলম্বিয়া ও বলিভিয়ায় তাঁর ব্রেইন চাইন্ড মেথডিকাল ওয়ার্কশপ স্কুল খোলেন। ছেলেমেয়েদের স্কুলিং নিয়ে তার বিখ্যাত আর্টিকেল হল,
‘Reflection on the flaws vitiating the Reading and Writing School for Children in Caracas and Means of Achieving its Reform and a New Establishment’
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কারও আগ্রহ থাকলে রড্রিগেজের এই পাবলিকেশনটি পড়ে দেখতে পারেন। এর সবই যে বর্তমানে প্রাসঙ্গিক তা নয়। কিন্তু এর বড় একটি অংশই আমাদের বর্তমান সময়ে বড্ড বেশী প্রাসঙ্গিক।
সাউথ আমেরিকার নায়ক যদি হন সাইমন বলিভার তাহলে বলিভারের নায়ক ছিলেন সাইন রড্রিগেজ। এই লেখাটা আসলে ব্যক্তি রড্রিগেজ নিয়েও নয়। এই লেখাটি স্কুলিং নিয়ে রড্রিগেজের চিন্তা ভাবনাগুলো নিয়ে।
বর্তমানে আমাদের স্কুলগুলোতে যেমনভাবে লেখাপড়া শিখানো হয় তা কতটা অপরিকল্পিত ও অকার্যকর এই ব্যাপারে তো নতুন করে আর বলার কিছু নেই। এখন প্রশ্ন হল আমাদের স্কুল সিস্টেম আসলে কিরকম হওয়া উচিত? স্কুলগুলোতে আমাদের লেখাপড়া শেখানোর মোটিভ কি হওয়া উচিত?
স্কুল পাশ করে সার্টিফিকেট পেলে টাকা রোজগারের পথ সুগম হবে, এই সাবজেক্টে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে- শিক্ষা লাভ করে কিভাবে প্রতিযোগিতার বাজারে মেধা বেচা যায় সেটা নিশ্চিত করাই কি স্কুলের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত? সবাই আসলে এর উত্তর জানে কিন্তু এই সিস্টেমের কমফোর্ট জোনের বাইরে যাবার ব্যাপারে আমাদের সবারই অনেক অনীহা।
আমি রড্রিগেজের মত একটি ওয়ার্কশপ স্কুল মডেলের স্বপ্ন দেখি। যেই স্কুলে কিভাবে একে অপরকে ডিঙ্গিয়ে বেশী টাকা পয়সা কামানো যায় সেই উপায় শেখানোর বিদলে জীবনে টিকে থাকতে একটি মানব সন্তানকে কি কি লাইফ স্কিল জানতে হয় তা শেখানো হবে। বিছানা করা, রান্না করা, কাপড় ধোয়া, ফসল ফলানো, প্রকৃতিকে চেনা, আগুন ধরানো, প্রকৃতিকে ভালোবেসে সম্পদ আহরণ- সে যেন সেলফ সাফিশিয়েন্ট হবার চর্চা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেটাই স্কুলে নিশ্চিত করা হবে।
সেইসাথে স্কুলে পৃথিবীতে যা যা ঘটেছিল আর যা যা ঘটছে আর সামনে যা যা ঘটতে পারে সেগুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে ছাত্রছাত্রীদের সামনে উপস্থাপন করা। বিজ্ঞান, কলা, দর্শনের নানা পাঠ তাদের সামনে তুলে ধরা। এই বিষয়গুলো নানা পার্স্পেক্টিভ নিয়ে আলোচনা করা। ঘটনার- কে কি কেন কবে কোথায়- সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের কৌতুহলী করে তোলা, তাদের মনে জিজ্ঞাসা তৈরী করা ও সেই জিজ্ঞাসার যুতসই উত্তর খুঁজে পাবার নানা উপায় সম্পর্কে তাদের শেখানো- এই স্কুলের কাজ হবে এটাই, শক্ত একটি ভিত তৈরী করা যার উপরে তারা পরবর্তীতে অট্টালিকা গড়ে তুলতে পারে।
এর পাশাপাশি খেলাধুলা, গান, ছবি আকা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, ছবি তোলা, লেখালেখি- যার যার আগ্রহ ও ভালোলাগা অনুযায়ী এক্টিভিটিগুলো মনমত এক্সপ্লোর করার ক্ষেত্র হবে স্কুল। এই স্কুল রড্রিগেজের মত অসংখ্য বলিভারের মত শিশুদের ভিত তৈরী করবে।
এতক্ষন আমি আমার স্বপ্নের কথা লিখে যাচ্ছিলাম। এগুলো নিজের সাথে নিজের কথোপকথনের, বিচ্ছিন্ন ভাবনাগুলোর কিয়দংশ। আমি যখন বসে বসে এসব ভাবছি, চারজন তরুণ আমাদের সবুজ পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলে সবচেয়ে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য একটি স্কুলের গোড়াপত্তন করে ফেলেছে।
সিফাত, পেয়ার, সাইতা ও মুহিত- এই চার তরুণ তৈরি করেছে ওয়াংনিম কিয়াং, মেঘের দেশের পবিত্র ঘর। এই স্কুলে আপাতত স্থানীয় ম্রো শিশুদের ম্রো ভাষা ও তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হবে। পরবর্তীতে এই স্কুল কিভাবে কিভাবে নিজেকে গড়ে তুলবে সেই রুপরেখা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
দুর্গম ভূ-প্রকৃতির মাঝে অবস্থান, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব, রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার অভাব ইত্যাদি নানা কারণে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের মধ্যে উপরের দিকে থাকবে ম্রোদের নাম। তাদের কাছে বেসিক হিউম্যান রাইট (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা ) এখনো স্বপ্নের নাম। অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের ব্যাপারে এখনো তারা তাদের ইন্ডিজেনাস প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে সেলফ সাফিশিয়েন্ট থাকতে পারলেও ক্রমাগতভাবে জুমচাষের জমি কমতে থাকা, বনভূমির ধ্বংস, ইকোলজিক্যাল ব্যালেন্স নষ্ট হবার কারণে এগুলোও এখন হুমকির মুখে। বাকি থাকে শিক্ষা ও চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার। এই অধিকার আদায় করতে চাইলে তাদের পায়ে হেঁটে আসতে হয় এক বা দুইদিনের পথ।
এমন দুর্গম একটি জায়গায়, বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ৪ নং কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আদুই পাড়াতে গড়ে উঠেছে ওয়াংনিম কিয়াং। এই ম্রো শিশুরা যেন নিজ নিজ কমিউনিটিতে একেকজন লিডার হয়ে গড়ে উঠতে পারে, তাদের ধ্বংসপ্রায় প্রকৃতিকে যেন রক্ষা করতে পারে, নিজেদের পূর্বপুরুষদের ইন্ডিজেনাস জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে যেন ধারন করতে পারে সেই ক্ষেত্র প্রস্তুতের ভিত তৈরীতেই ভূমিকা রাখবে এই স্কুল।
এই স্কুলটি পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস, খাতা কলম, পেন্সিল, রাবার শার্পনারের মত স্টেশনারিজের খতচ তো আছেই। এই টাকার পুরোটাই বর্তমানে পাহাড়প্রেমী কিছু মানুষের আর্থিক অনুদানে উঠে আসছে। কিন্তু সবসময় অনুদান পাওয়া যাবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি অঙ্কুরিত এই স্কুলটিকে কমসেকম এক বছরের ফান্ডিং জোগাড় করতে সাধ্যমত চেষ্টা করব।
এক বছর এই স্কুলটির কার্যক্রম চালিয়ে নিতে প্রয়োজন হয় মাত্র একলক্ষ বিশ হাজার টাকা। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে সামান্য এই ফান্ডটি জোগাড় করা কোন বিষয়ই না।
আমি এই স্কুলের ফান্ড রেইজ করার জন্য হিমালয়ে একটি মাসব্যাপী অভিযানে যাচ্ছি। আমি আপনাদের সবার সাথে আমার পর্বতে একা একা অভিযাত্রার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাগুলোর গল্প শেয়ার করব। সেই সাথে থাকবে ছবি ও ভিডিও। হিমালয়ের এক নতুন জায়গার সাথে আপনাদের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। আমার লেখা পড়ে, ছবি না ভিডিও দেখে আপনারা যদি কিছুটা হলেও আনন্দ পান, ভালো লাগে, অনুপ্রেরণা পান, পর্বতারোহণ সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পারেন বা শিখতে পারেন বা এসব কিছু বাদ, যদি মনে করেন এমন একটি স্কুলের পাশে থাকবেন তাহলে আমার অনুরোধ থাকবে ওয়াংনিম কিয়াং এর ফান্ড রেইজিংয়ে আপনার সাধ্যমত কন্ট্রিবিউট করবেন। সেটা ১০০ হতে পারে, ৫০০ হতে পারে বা হাজার, সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা।
এই লিংকে গিয়ে আমার অভিযানটিকে আপনি অনুসরণ করতে পারেন। আমি চেষ্টা করব অভিযানের ফাঁকে ফাঁকে ডিসপ্যাচ দেয়ার। এছাড়া অভিযান শেষে ধারাবিক গল্প ছবি তো থাকবেই।
ওয়াংনিম কিয়াং এর জন্য আপনার যেকোন পরিমাণের অনুদান পাঠাতে পারেন অদ্রির ব্যাংক একাউন্টে।
একাউন্টের নাম: AUDREE
একাউন্ট নম্বর: 1111100033530
ব্যাংক: DUTCH- BANGLA BANK LTD
ব্রাঞ্চ: NARAYANGANJ
এছাড়া বিকাশ করতে পারেন: 01920833009 (মার্চেন্ট), কাউন্টার 1।
যারাই অনুদান পাঠাবেন প্লিজ রেফারেন্স হিসেবে C4E কথাটি লিখে দিবেন। তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।
ওয়াংনিম কিয়াং কেমন চলছে সেটি জানতে ফলো করতে পারেন স্কুলের ফেসবুক পেইজ, ওয়াংনিম কিয়াং
হিমালয়সম কঠিন এই অভিযানে আশা করি আপনাদের সবাইকে পাশে পাব।