মাওতাম

১.
বার্মার পাহাড়ে সন্ধ্যা নামি নামি করছে। তখনও অন্ধকার পাহাড়কে পুরোপুরি জাঁপটে ধরতে পারেনি। এর মধ্যে গুটিগুটি পায়ে খুবই সন্তর্পণে ঘন ঝোপঝাড়ের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে থাংচুয়াহ। সে উর্ধাঙ্গে কিছু পরেনি। নিম্নাঙ্গে ময়লাটে একটি লুঙ্গি ছোট করে পরে আছে। রোদে পোড়া পেটানো শরীর থেকে জেল্লা বের হচ্ছে। এক কাঁধে কাপড়ের ছোট একটি ঝোলা ব্যাগ ও আরেক কাধ থেকে ব্রিটিশ আমলের একটি রাইফেল ঝুলে আছে। বহুকাল আগে তাঁর দাদা আসামের একটি চা বাগানে হামলা করার সময় এক সেপাইয়ের গলা কেটে রাইফেলটি ছিনিয়ে নিয়েছিল। দাদার পা ভেঙে যখন পঙ্গু হয়ে গেল, তখন তাকে এই রাইফেলটি উপহার দিয়েছিল। তাও কত বছর আগের কথা। পুরনো দিনের কথা মনে পড়তেই বুঝি রাইফেলটিকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল থাংচুয়াহ, লুসাই পাহাড়ের বর্ষীয়ান শিকারী।

তিনদিন আগে সে লুসাই পাহাড় থেকে বুনো গয়াল শিকার করতে কালাডানের জঙ্গলে নেমে এসেছে। শেষ বিকালেই কালাডান নদীতে পানি পান করতে আসা দলছুট এক গয়ালের চিহ্ন দেখে অভিজ্ঞ চোখ জোড়া বুঝে নিল মদ্দাটি খুব বেশীদূর যেতে পারেনি। শিকার সামনেই আছে। চনমনে শরীরে সে চড়াই উঠতে লাগল। কিছুদূর উঠার পরই সামনে এক ভয়ংকর দৃশ্য দেখে সে থমকে গেল। ভয়ে ও আতঙ্কে দশ হাত দূরে থাকা নধর শিকারের কথা তাঁর আর মনেই রইলো না। বিড়বিড় করে সে শুধু উচ্চারণ করল, ‘মাওতাম’। এরপর তীব্রগতিতে সে নিজ গ্রামের দিকে ছুটতে লাগলো। এই ভয়ানক খবরটি গ্রামবাসীকে দ্রুত জানাতে হবে।

২.
কিছুক্ষণ আগে লুসাই পাহাড়ের উপর ভারতের শেষ গ্রামে এসে পৌঁছেছে থাংচুয়াক। তিনদিনের পথ সে একদিনে দৌঁড়ে এসেছে। নগ্ন শরীরে মুক্তোদানার মত জমে থাকা ঘামের ফোঁটাগুলো এখনো শুকোয়নি। গ্রাম প্রধাণকে দুঃসংবাদটি জানানোর সাথে সাথে গ্রামের পরিবারগুলোর প্রধান পুরুষদের নিয়ে জরুরী সভা তলব করা হল। একে একে করে সবাই আসার পর গ্রাম প্রধান গম্ভীরমুখে বলল, ‘মাওতাম আসছে’। থাংচুয়াক আরাকানের গভীর জঙ্গলে দেখে এসেছে মুলি বাঁশে ফুল ধরেছে। গ্রাম প্রধাণের মুখে ভয়ংকর খবরটি শুনে পুরুষদের চেহারা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে হল ভয়ে সাদা হয়ে গেল। এদের মধ্যে বেশীরভাগই ছোটবেলায় মাওতামের গল্প শুনেছে। এই প্রথমবারের মত এবার তা মোকাবেলা করতে হবে। এখন কি করতে হবে তা পুরোপুরি বুঝতে না পেরে সবাই নিজেদের মধ্যে গুজগুজ ফিসফিস করতে লাগলো।

গ্রামের সবচেয়ে বয়সী বুড়োর নাম আপি। পাহাড়ের ভালো মন্দ অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। চৈত্রের খরতাপে চৌচির জমির মত মুখের বলিরেখাগুলো তেমনটাই সাক্ষী দেয়। কিছুক্ষণ চুপচাপ অপেক্ষার পর তামাকের পাইপে লম্বা একটি টান দিয়ে মুখ ভর্তি ধোঁয়া ছেড়ে সবার উদ্দেশে ধমকে উঠল, অকর্মার দল চুপ হয়ে যাও। বসে বসে গুলতানির জন্য এখন হাতে একদম সময় নেই। দুর্ভিক্ষের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। গ্রামে গ্রামে মাওতাম আসার খবর পৌঁছে দিতে হবে। বাকিরাও যেন সময়মত প্রস্তুতি নিতে পারে।

৩.
মাওতামের খবর দাবানলের মত লুসাই পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ল। কিছুদিনের মধ্যেই খবর এসে পৌঁছে গেল আইজল, লুসাই পাহাড়ের সবচেয়ে বড় শহরে। এখানেই বাস করে স্কুলে লেখাপড়া শেখা বাবুরা। বাবুরা জুম চাষ অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে। পাহাড়ের এই শিক্ষিত প্রজন্ম এখন অফিসে চাকুরী করে। তাই মাওতামের খবর তাদের বিচলিত করে না। অফিস শেষে ঘরে ফিরে মাওতাম আসার গল্প করে। ভাত খেতে খেতে বুড়ো বাপ দাদার কাছে গল্প শুনে। ব্রিটিশ আমলে হওয়া শেষ মাওতামে কিভাবে তারা বেঁচে ছিল। ক্ষুদার জ্বালায় কিভাবে পাহাড়ে পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে তারা জংলী আলুর সন্ধান করত। কত মানুষ না খেতে পেয়ে মরে গেছে। এগুলো সবই এখন দুঃসময়ের স্মৃতি। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যিশুকে ধন্যবাদ জানিয়ে কম্বল বিছিয়ে তারা শুয়ে পড়ে। সকালে আবার অফিসে যেতে হবে।

৪.
একদিন জেলা পরিষদ অফিসের সামনে ভিড় করে দূর পাহাড় থেকে আসা গ্রামবাসী। নেংটি পরা একদল চাষাভুষা জংলীকে ফটকের সামনেই আটকে দেয় পাহারাদার। হৈচৈ হট্টগোলের পর প্রবীণ দুজনের ভিতরে যাবার অনুমতি মিলে। অফিসে ঢুকে তাঁরা হড়বড় করে মাওতাম আসার কথা বলতে থাকে।

বড় স্যার আন্তরিক ছিলেন। অফিসের অ্যাকাউন্টেন্ট লালডেংগার কাছে কিছুদিন আগেই তিনি মাওতামের ভয়াবহতার কথা শুনেছেন। তাই পিওনকে ডেকে হুকুম দিলেন দুই প্রবীণ মিজোকে নোনতা বিস্কুট ও পানি খেতে দিতে। আর আশ্বস্ত করলেন, উনি থাকতে এই জেলার কেউ এবার না খেয়ে মরবে না। এখনতো আর ব্রিটিশরাজ নেই। আমরা স্বাধীন হয়ে গেছি। আমাদের নির্বাচিত সরকার আছে। সরকার অবশ্যই তার নাগরিকদের না খেয়ে মরতে দিবে না।

সদ্য সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা দিয়ে জেলার দায়িত্বে আসা অফিসার স্যানাল গরীবদের সাহায্য করতে পারবে ভেবে সত্যি সত্যি কিছু করার উদ্যোগ নিলেন। কিছুদিনের মধ্যে তার জেলায় আসন্ন দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় কি কি করনীয় তা বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিলেন গৌহাটির প্রাদেশিক সরকারের দপ্তরে।

চিঠির উত্তরে সরকারের দপ্তরের জরুরী তলব আসল। অফিসার ভাবলেন এই ভালো হল। সামনা-সামনি পরিস্থির কথা বললেই ভালো হবে। অফিসের সেই মিজো অ্যাকাউটেন্টকেও সাথে নিয়ে নিলেন। সেই হয়ত পুরো পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবে। আইজল থেকে পাঁচশত কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে রাজধানী গৌহাটি পৌঁছাতে তাদের পাঁচদিন লেগে গেল।

৫.
‘হোয়াট ইজ দিস মিস্টার স্যানাল’?, দামী সিগারেট মুখ থেকে নামিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে প্রশ্ন করল রাজ্যের মুখ্য সচিব।

বড় স্যারের সামনে কাচুমাচু হয়ে বসা অফিসার উত্তরে বলল, ‘দিস ইজ দ্যা রিপোর্ট মেনশনিং প্রিকশনারি মেজার্স টু ট্যাকেল দ্যা আপকামিং ফেমাইন ইন মিজোরাম ডিস্ট্রিক্ট স্যার’।

‘ফেমাইন? হোয়ার? আই ডোন্ট হ্যাভ এনি ইনফরমেশন অন এনি ফেমাইন ইন আওয়ার স্টেট৷’, আগের চেয়েও চিবিয়ে চিবিয়ে জিজ্ঞেস করল সচিব।

‘ইট হ্যাজ নট হ্যাপেন্ড ইয়েট, স্যার। বাট ইন কামিং মান্থস ইটস এবাউট টু হেপেন। উই মাস্ট বি প্রিপেয়ার্ড।’

‘ওহ ইয়েস, ইউ রোট দ্যাট ইন ইওর রিপোর্ট। সামহোয়ার ইন দ্যা ডিপ মাউন্টেইন্স, দেয়ার্স আ ব্যাম্বু ফ্লাওয়ার ব্লুম এন্ড নাও আ বিগ ফ্লাড অফ ব্ল্যাক ফ্যাট র‍্যাট ইজ কামিং…ডু আই লুক লাইক আ ফুল?’

স্রোতের গতি বুঝতে পেরে অফিসারটি সঙ্গে আসা অ্যাকাউন্টেন্ট মিজোরামের স্থানীয় লালডেংগার কোর্টে বল ফেলে দিল। লালডেংগা নিজেও বোধ হয় এমন একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। সে মাওতাম নিয়ে গুছিয়ে বলা শুরু করল।

স্যার, ‘মিজো ভাষায় মাওতাম অর্থ হচ্ছে বাঁশের মৃত্যু। মুরুব্বীদের কাছে শুনেছি পঞ্চাশ বছর পর পর পাহাড়জুড়ে মুলি বাঁশের যখন ফুল ফোটে বাঁশ মরে যায়, তখন ইঁদুরের বন্যা নামে। জুমের সব ফসল তারা খেয়ে শেষ করে ফেলার পর কিভাবে তারা বাঁশের মাচা ঘরে হামলা চালায়। সারা বছরের জন্য তুলে রাখা শস্যের শেষ দানাটি পর্যন্ত রক্ষা পায় না। পাহাড়ের মানুষগুলো বাধ্য হয়ে জঙ্গলের লতা পাতা খাবার চেষ্টা করে। না খেতে পেয়ে শিশুরা বুড়োরা মারা যায়। ব্রিটিশ আমলে শেষবার এমন মাওতাম এসেছিল। শতশত মানুষ না খেয়ে মরে গিয়েছিল হুজুর। এই দুর্ভিক্ষ থেকে মিজোদের আপনি বাঁচান হুজুর।’

‘ইনাফ’ বলে লালডেংগাকে থামিয়ে দিয়ে সচিব বলা শুরু করল, ‘আই হার্ড দৌজ স্যাভেজের ইট এভ্রি লিভিং থিং। সো হোয়াই ডোন্ট দে ইট অল দোউজ র‍্যাটস? ইটস আ সিম্পল সলিউশন। যত্তসব আনসায়েন্টেফিক বুজরুকি। তোমাদের রিলিফের চালের চাইতে বেশী দরকার এডুকেশন।’

এখানে সচিব থামলো না। মাথা নিচু করে থাকা অফিসারটিকে ভৎসনা করে আরও বললো, বাঁশের ফুল দেখে পাহাড়ের কিছু বনমানুষ দুর্ভিক্ষের ভবিষ্যতবাণী করে বসলেন, আর সরকারি অফিসাররা ধাই ধাই করে সেই বুজরুকি নিয়ে রিপোর্ট লিখে ফেললেন। এত এত টন চাল দরকার, দুর্গম পাহাড়ে রিলিফ পৌঁছাতে আর্মির হেলিকপ্টার দরকার…যত্তসব। লেখাপড়া জানা অফিসার এইসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করছে। ইউ শুড বি অ্যাশেমড। নাও গেট ব্যাক টু ইওর ওয়ার্ক, দ্যা রিয়েল ওয়ার্ক।

লজ্জা আর অপমানে ক্ষত-বিক্ষত দুটি আত্মা মাথা নিচে করে সরকারি অফিস থেকে বেরিয়ে এল।

[ডিসক্লেইমার: সত্য ঘটনা অবলম্বনে এটি একটি কাল্পনিক গল্প। এখানে লালডেংগা ছাড়া সবকটি চরিত্র কাল্পনিক। ১৯৫৮ সালে মিজোরামের পাহাড়ে মুলি বাঁশের ফুল ফুটেছিল। এর ফলে পাহাড়জুড়ে নেমে এসেছিল ইঁদূর বন্যা। কয়েক মাসের মধ্যে পাহাড়জুড়ে দেখা দিয়েছিল দুর্ভিক্ষ। মারা গিয়েছিল শতশত মানুষ।

মিজোরাম তখন আসাম রাজ্যের একটি জেলা ছিল। আসন্ন দুর্ভিক্ষের কথা বারবার জানানোর পরও মিজোরামের অভুক্ত বাসিন্দাদের জন্য সরকার কোন ধরণের উদ্যোগই নেয়নি। প্রথমদিকে তো তারা বিশ্বাসই করেনি এমন কিছুও হতে পারে। অথচ ব্রিটিশ আমলের নথিতে ১৯১১ সালের মাওতামের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা ছিল।

আসাম সরকারের এই অনিহা ও দুর্দিনে চুড়ান্ত রকমের অসহযোগিতা মিজোরামের জাতীয়তাবাদকে আরও মজবুত করে তোলে। তারা যে অন্যদের থেকে আলাদা আর নিজেদের সাহায্য যে নিজেদেরকেই করতে হবে, কেউ এগিয়ে আসবে না এই বোধ জাগ্রত হবার পর- দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় মিজোরাম জুড়ে গড়ে উঠে মিজো জাতীয়তাবাদে উজ্জীবিত এক শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক দল, মিজোরাম কালচারাল সোসাইটি।

শিক্ষিত মিজোদের নিয়ে তৈরি প্রগতিশীল এই সংগঠন দুর্ভিক্ষে সাহায্য করার সময় নাম পালটিয়ে রাখে মিজোরাম ন্যাশনাল ফেমাইন ফ্রন্ট। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন লালডেংগা। দুর্ভিক্ষের সময় এই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা কাধে করে দুর্গম পাহাড়ে চালের বস্তা পৌঁছে দিয়েছিল। তাদের কাজে সহসাই মিজোরামের মানুষ একাত্ম হয়ে যায়। ১৯৬১ সালে লালডেংগার নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট।

৫ বছর আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার পর ১৯৬৬ সালের পহেলা মার্চ, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ভারত থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ঘোষনা দেয়। এমএনএফ এর গেরিলা যোদ্ধারা আইজল সহ মিজোরামের গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা দখল করে ফেলে।

হঠাৎ করে জন্ম নেয়া এই বিদ্রোহ দমনে ভারত সরকার আইজলে বিমান হামলা চালায়। ব্যাপক যুদ্ধের পর ২৫ মার্চ ভারতীয় বাহিনী পুনরায় মিজোরাম দখল করতে সক্ষম হয়। আর এমএনএফ এর গেরিলারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে আসে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের পার্বত্য চট্টগ্রামে। এরপর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলে মিজোরাম নিয়ে যুদ্ধ।

আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ করে বান্দরবানই ছিল এমএনএস যোদ্ধাদের ঘাঁটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পরে মিলিয়ে লম্বা একটি সময় তারা এই ভূখন্ডে থেকে মিজোরামের জন্য যুদ্ধ করে গেছে। আমাদের পাহাড়েই ছিল মিজো প্রবাসী সরকারের সদর দপ্তর, ট্রেনিং সেন্টার, হাইড আউট ও ক্যাপিটাল।

স্বাধীনতা যুদ্ধে এমএনএফ এর বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে পুনরায় তাদের আশ্রয় পাবার পিছনের শর্ত হিসেবে শান্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে নেয়া অবস্থান সহ বান্দরবান তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এমএনএফ এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।

বান্দরবানের গল্প বলতে নিলে এমএনএফ তাই এমনি এমনি চলে আসে।

এই ছোটগল্পের মাধ্যমে আমি আসলে সেই মুহুর্তটিকে কল্পনা করার চেষ্টা করেছি যা মিজোরামের অবিসংবাদিত নেতা দ্যা ক্যারিজম্যাটিক লালডেংগাকে ট্রিগার করেছিল, যার ফলে মিজো জাতীয়তাবাদের বীজ দ্রোহ হয়ে স্ফুলিঙ্গের মত লুসাই পাহাড় থেকে বান্দরবান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।]

ছবিটি নেয়া হয়েছে The Lushai Hills : a story of the Lusahi pioneer mission নামক বই থেকে।

8 Responses

  1. Excellent weite up. I have strong interest on hill side people’s history.
    Thanks for story with true history.

  2. সময়ের সাথে সাথে আমরা যেন পাহাড়ের মানুষগুলোর অস্তিত্ত্ব-কে অস্বীকার করতে চাই। আমাদের চাপিয়ে দেয়া উন্নয়ন যে তাদের সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে তা যেন প্রতিনিয়ত প্রমান করে চলেছে বান্দরবনের তারকাবহুল হোটেলগুলো। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়ার একটা মানসিকতা কেন যেন আমাদের সবসময়ই কাজ করে, এটা Ki আত্নবিশ্বাস নাকি অবহেলা ?
    যাই হোক, দারুন লিখেছেন, সালেহীন ভাই। আরো লেখা পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।

    1. সবার আগে তো এটা অজ্ঞতা। এরপর মূর্খতা। আমরা আমাদের কলোনিয়াল প্রভুদের ডিজাইন করা লেখাপড়া করে মনে মনে ভেবে নেই সব জেনে হনু হয়ে গেছি। আসলে যে আমাদের কোন গভীরতাই নেই এটা বুঝতে পারিনা।

    2. এক নিঃশ্বাসে লেখাটা পড়েছি খুব সুন্দর হয়েছে ভালো হয়েছে।
      এরকম লেখা আরো চাই বন্ধুর কাছ থেকে,আরও পড়তে চাই, আরো জানতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!