ডিসপ্যাচ [এক]

অচেনা কাঠমান্ডু

ঝড়ের বেগে কাঠমান্ডুর দুটি দিন কেমন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। আগের দিন রাতে হাপুস হুপুস পুরো সিলেবাস গেলার চেষ্টা করে যারা কোনরকমে পরীক্ষা উৎড়ে যায়, তারা বুঝি কখনোই শুধরায় না। নইলে একেবারে শেষ মুহুর্তে এক্সপেডিশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে এত নাকাল হব কি জন্য? আমার মনে হয় অভিযান শুরু হবার আগেই আমি অনেক বিরাট একটি শিক্ষা পেয়ে গেলাম। সময়ের কাজ সময়মত করা আর অর্গানাইজড ওয়েতে টাস্কগুলো পারফর্ম না করলে পরবর্তীতে যেই নাকানিচুবানি খেতে হয় সেটার দায়ভাত পুরোপুরিভাবে নিজের ঘাড়ে চলে আসে।

এমন না যেন হুট করেই এই অভিযানের কথা ভেবেছি। এই অভিযানের পরিকল্পনাটি মূলত প্রায় চার বছর আগের। ২০১৮ সালেই এই প্ল্যানটি এক্সিকিউট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেবার নিজের উপর একদম শতভাগ কনফিডেন্স না থাকায় পরিকল্পনাটি থেকে সরে পরি। অতঃপর হিমালয়ে আমার প্রথম সোলো অবজেক্টিভ হিসেবে লাংতাং হিমালের গাঞ্জা লা পাস ট্রাভার্স করেছিলাম। আহ, একা একা সাতদিন দুর্গম হিমালয়ের বুকে কাটানো অভিজ্ঞতার সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা চলে না। 

এখন রাত তিনটা বেজে গেছে। তবু থামেল এখনও গমগম করছে। আজ শুক্রবার রাত বলে কথা। আগামীকাল নেপালের সাপ্তাহিক বন্ধ। থামেলের পুরো এরিয়াজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাব, বার, ডিস্কোগুলোয় তিল ধারনের জায়গা নেই। পার্পল হেইজের মঞ্চ থেকে ভেসে আসা হেভি মেটালের বেইজ ১০০ গজ দূরের হোটেলের ফ্লোরও কাঁপাচ্ছে। থামেলের অলিগলিতে কাঠমান্ডুর উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে দিয়ে ভর্তি। হেবি মেটাল রক, বেহেড মাতালদের মাতলামি, পুলিশের সাইরেন, গাড়ির হর্ণ মিলিয়ে আজ রাতের ঘুম যে হারাম হয়ে গেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এত কোলাহলের মধ্যে মনযোগ দিয়ে কিছু লেখাও কষ্টকর। 

দীর্ঘ দুই বছর ধরে করোনার কারণে সব কিছু স্থবির হয়ে আছে। থামেলের খাঁ খাঁ ওলিগলিগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো, করোনার ধাক্কা থামেল এখনো সামলে উঠতে পারেনি। মৌসুমে আগে যেখানে রেস্তোরাঁগুলোয় তিলধারণের জায়গা পাওয়া যেত না, এখন বেশীরভাগ আসনই ফাকা পড়ে থাকে। গিয়ারশপগুলোতেও কেনাকাটা করছে এমন কোন ভিড় গত দুদিনেও চোখে পড়ল না। মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে এসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। কাঠমান্ডুতে পেট্রোলের দাম এখন ১৫০ রুপি। 

এখন আমার সামনের দিনগুলোর পরিকল্পনা লিখার আগে আমার এবারের অভিযানের কজ সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক। 

আজ বহুদিন ধরে আমি পাহাড়ে পর্বতে যাচ্ছি। বলতে দ্বিধা নেই, আমার পাহাড়ে যাওয়ার পিছনে দেশপ্রেম বা জাতীয় পতাকা আমাকে কোনভাবেই ড্রাইভ করেনি। আমার পাহাড়ে যাবাড় কারণ একান্তই ব্যক্তিগত। আর আমি বিশ্বাস করি, আমি পাহাড়ে গেলে এতে আমার দেশের বা দেশের মানুষের  উপর কোন ধরণের প্রভাব পড়েনা। 

কিন্তু একই সাথে এটাও সত্যি, পাহাড়ে গিয়েই আমার জীবনযাত্রা, দৃষ্টিভঙ্গি সবকিছু অদ্ভুতরকম পাল্টে গেছে। সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটা এসেছে সেটা হল আমি সবকিছু একটু গভীরভাবে ভাবতে শিখেছি। আমার চারপাশের খুব ছোট ছোট বিষয়ও নোটিশ করা শুরু করেছি। যা সাধারণ অবস্থায় হয়ত নজরেই আসত না, সেটা নিয়ে ভাবা তো দূরের কথা। সেই সাথে সৌভাগ্যবশত বা দুর্ভাগ্যবশত পৃথিরীর চলমান সমস্যাগুলো ইম্প্যাক্ট খুব কাছ থেকে দেখেছি। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, ওভার পপুলেশন, ওভার কনসাম্পশন, পলিউশন, ওয়াটার স্কারসিটি, ডেস্ট্রাক্টিভ ফার্মিং, ডিফরেস্টেশন, লস অফ বায়ো ডাইভারসিটি…

এই সকল সমস্যা একটি আরেকটির সাথে ইন্টারকানেক্টেড। আর এসবগুলোই আমাদের ধারনার চাইতেও দ্রুত গতিতে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পরিতাপের বিষয় হল এই প্রতিটি সমস্যার জন্য এই আমরাই দায়ী। আমরা যদি খুব দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নেই, পৃথিবীর মানুষকে এই চলমান ভয়ংকর সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সচেতন করতে না পারি, এই সমস্যাগুলোর সমাধানে যা যা করনীয় তা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে মানুষ হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়ে যাব। এত কাছ থেকে পরিনতিগুলো উপলব্ধি করতে পারার পরেও যদি আমরা কোন স্টেপ না নেই তাহলে নিজের কাছেই ছোট হয়ে যাব! নাও ইটস টাইম টু গিভ ব্যাক !

অনেক ভেবেছি আমার করনীয় সম্পর্কে। আমি নিজেকে পরিবর্তন করার সাথে সাথে এই পৃথিবীর জন্য আর কি করতে পারি? অনেক ভেবে মনে হয়েছে, আমাদের এই সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা, সম্ভাব্য করনীয়, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে তাদের জন্য সবার আগে গুরুত্ব দিয়ে করা উচিত যারা সবচেয়ে বেশী ভালনারেবল-আমাদের শিশুরা। আমরা বড়রা অলরেডি করাপ্ট হয়ে গেছি, আমাদের মাথায় নতুন কোন আইডিয়া সেটা এখন যতই প্রগেসিভ হোক না কেন সেটা ঢুকানো খুব কঠিন, প্রায় অসম্ভব একচুয়ালি! অপরদিকে শিশুরা মাত্র দশ পনের বিশ বছরের মধ্যেই সমাজে এমন একটি জায়গায় বিচরন করবে যেখান থেকে তারা একটি লিডিং রোল প্লে করতে পারে। এজন্যই হয়ত বলে, আজকের শিশুরাই তো আগামী দিনের ভবিষ্যত।

তাই আমাদের ভবিষ্যতের জন্য এমন কয়েকজনকে তৈরী করতে হবে যারা ক্রিটিকালি চিন্তা করতে পারবে, ছোটবেলা থেকে যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসতে আর প্রকৃতির ভালো মন্দ বুঝে বড় হবে, সবাইকে সাথে নিয়ে চলমান সমস্যাগুলোর সমাধান বের করবে। তাই আমাদের ছোট শিশুদের কাছেই সবার আগে যাওয়া দরকার। স্কুলে স্কুলে গিয়ে আমরা পাহাড়ে কি দেখেছি, আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো তাদের সাথে শেয়ার করা দরকার, সমস্যাগুলো, তাদের ইম্প্যাক্ট ও পরিনতি সম্পর্কে তাদের বুঝানো দরকার।

এরপরেই মনে হল আমাদের দেশের একটি বিশাল অংশে বসবাস করা ছোট ছেলেমেয়েদের যাবার মত কোন স্কুলই নেই। আমি যেই পাহারের ভালবাসা পেয়ে ধন্য হয়েছি সেখানকার বড় একটি অংশের জনগনের বেসিক চাহিদাগুলোই তো পূরণ হয় না। দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন জনপদগুলো এখনো পুরোপুরিভাবে অবহেলিত হয়ে আছে। সেখানকার শিশুরা, যারা পৃথিবীর এই বিরুপ পরিবর্তনগুলোর কারণে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তাদের কাছে জানা, নিজেদের বিকশিত করার, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের ও তাদের জন্মভূমিকে রক্ষা করার কোন উপায় জানা নেই। 

সবার আগে তো আমাদের তাদের দিকে তাকাতে হবে। তাদের প্রোপার স্কুলিং নিশ্চিত করতে হবে যেন তারা নিজেদের কমিউনিটির মধ্যে পরবর্তীকালে পজিটিভ পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসতে পারে। আমি তাহলে পাহাড়ে এমন একটা স্কুলের জন্য কাজ করতে পারি। যেখানে প্রচলিত সিলেবাসের বাইরে বাচ্চাদের লাইফ স্কিলস, কারিগরি জ্ঞানের সাথে সাথে, নিজেদের পাহাড় ও পৃথিবীকে আগলে রাখতে পারবে।

 আমার পাহাড়ে যাওয়া যেন পৃথিবীতে কিছুটা হলেও পজিটিভ ইম্প্যাক্ট রাখতে পারে সেটা চিন্তা করেই আমি ‘ক্লাইম্ব ফর আর্থ’ নামে প্রজেক্ট শুরু করেছি। 

ক্লাইম্ব ফর আর্থের আওতায় এবার এমনই একটি স্বপ্নের স্কুলের নাম, ‘ওয়াংনিম কিয়াং’ বা মেঘের দেশের স্কুল নিয়ে কাজ করব। আমার এবারের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হবে ওয়াংনিম কিয়াং এর দেবশিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চত করার জন্য এক বছরের ফান্ড রেইজ করা। 

পাহাড়প্রেমী চারজন পেয়ার, সিফাত, মুহিত ও তানভীর মিলে তৈরি করেছে ওয়াংনিম কিয়াং। মূলত মাতামুহুরির উজানে ম্রো সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য নির্মিত হয়েছে সম্পূর্ন অবৈতনিক এই স্কুল।

ম্রো ভাষায় ওয়াংনিম অর্থ মেঘ আর কিয়াং অর্থ পবিত্র ঘর যা এখানে স্কুল অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে। বান্দরবান জেলার আলিকদম উপজেলার ৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দুর্গম আদুই পাড়াতে এই স্কুলের অবস্থান।

বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিশুদের এখানে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তিতে উচ্চশিক্ষার জন্য এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির মাধ্যমে শহরের আবাসিক স্কুলে থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষা সমাপন করার ব্যবস্থা করবে ওয়াংনিম কিয়াং। 

আপনারা যারা আমার এই লিখা পড়ছেন, আমার এই সোলো অভিযান নিয়ে যাদেরই অল্প বিস্তর আগ্রহ আছে, আমার লেখা, ছবি, গল্প, অভিজ্ঞতা যদি আপনাকে কিছুটা হলেও আনন্দ দিয়ে থাকে তাহলে আমি রিকোয়েস্ট করব, আমাদের সবুজ পাহাড়ে অঙ্কুরিত মেঘের দেশের এই স্কুলের জন্য সাধ্যানুযায়ী অর্থ অনুদান হিসেবে দিন। আপনাদের এই অনুদানের সমস্ত টাকা ওয়াংনিম কিয়াং এর ফান্ডে চলে যাবে। 

ওয়াংনিম কিয়াং এর শিক্ষকের বেতন, শিশুদের যাবতীয় শিক্ষা সামগ্রী মিলিয়ে প্রতি মাসে খরচ হয় প্রায় দশ হাজার টাকা। এক বছরে এই খরচ গিয়ে দাঁড়ায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। আমি এই অভিযানের মাধ্যমে এই স্কুলের এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড রেইজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এই জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা ও আন্তরিক সাহায্য ছাড়া এই লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব। 

তাই আবারো আর্জি থাকবে আমার লেখা পড়ে, গল্প শুনে যদি একটুও আনন্দ পেয়ে থাকেন, নতুন কোন কিছুর খোঁজ পেয়ে থাকেন তাহলে ওয়াংনিম কিয়াং এর জন্য আপনার যেকোন পরিমাণের অনুদান পাঠাতে পারেন অদ্রির ব্যাংক একাউন্টে। 

একাউন্টের নাম: AUDREE

একাউন্ট নম্বর: 1111100033530

ব্যাংক: DUTCH- BANGLA BANK LTD

ব্রাঞ্চ: NARAYANGANJ 

এছাড়া বিকাশ করতে পারেন: 01920833009 (মার্চেন্ট)

কাউন্টার নাম্বার- 1

যারাই অনুদান পাঠাবেন প্লিজ রেফারেন্স হিসেবে C4E কথাটি লিখে দিবেন। তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। 

আমি বেশ অনেকদিন নেটওয়ার্কে থাকব না। ফান্ড রেইজিং এর জন্য যথেষ্ট সময়ও দিতে পারব না। তাই আমি অনুরোধ করব যারাই এই লেখা পড়ছেন, ওয়াংনিম কিয়াং এর জন্য এই ফান্ড রেইজ করার জন্য আমার লেখা ডিসপ্যাচগুলো আপনাদের বন্ধু বান্ধবদের সাথে ও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করে ক্লাইম্ব ফর আর্থের এই প্রজেক্টটিকে এক্সিকিউট করতে সাহায্য করবেন। 

এখন আমার অভিযানের বিষয়ে অল্প কিছু কথা বলা যাক। আমার এবারকার সোলো প্রজেক্টের জন্য হিমালয়ের গৌরীশঙ্কর রিজিওনটি পছন্দ করেছি। আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল হিমালয়ের বিচ্ছিন্ন ও ট্যুরিজমের রমরমাভাব থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখা এই অঞ্চলে একা একা কখনো আসব। হিমালয়ের ছোট এই অংশটি দ্যা গ্রেট হিমালায়ান ট্রেইলের অংশ। গ্রেট হিমালায়ান ট্রেইল হল পাকিস্থানের নাঙ্গা পর্বত থেকে শুরু করে চায়নার নামভা বারওয়া পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মাইলের মত লম্বা একটি ট্রেইল। আমার স্বপ্ন আছে, হিমালয়ের উপর দিয়ে যাওয়া এই পুরো পথটি জীবিতকালে হেঁটে শেষ করব। 

বর্তমানে আমি গ্রেট হিমালায়ান ট্রেইলের নেপাল অংশটুকু শেষ করার চেষ্টা করছি। অন্নপূর্ণা , ধাউলাগিরি, লাংতাং অঞ্চলের পর আমার এবারের লক্ষ্য হিমালয়ের গৌরি শঙ্কর ও সাগরমাথা অংটুকু ট্রেক করার। 

হিমালায়ান ওডিসির এই অংশটুকুর তিনটি ফেইজ। প্রথম ফেইজে আমি রোলওয়ালিং উপত্যকাটি এক্সপ্লোর করব। এখানে দুইটি চূড়া আরোহণের চেষ্টা করব। হিমালয়ের সর্ববৃহৎ গ্লেসিয়াল লেক দেখব। এরপর নেপালের অন্যতম কঠিন পাস ‘তাশি লাপচা’ অতিক্রম করে রোলওয়ালিং থেকে সলো খুম্বু অঞ্চলে প্রবেশ করব। এরপর এভারেস্ট রিজিওনের জনপ্রিয় ‘থ্রি পাস’ ট্রেইলে ট্রেক করে লুকলা হয়ে আবার কাঠমান্ডু ফিরে আসব। এই পুরো পথটি ট্রেক করতে প্রায় মাস খানেক সময় লেগে যাবে। 

এই অভিযানে আমি পাঁচ হাজার মিটারের পাঁচটি পিক ক্লাইম্ব করার পরিকল্পনা আছে। সেই সাথে পাঁটি হাই পাস ও পাঁচটি হাই অল্টিটিউড গ্লেসিয়াল লেক এক্সপ্লোর করার ইচ্ছা আছে। 

এই পুরো সময়জুড়ে যখনই আমি নেটওয়ার্ক পাব তখনই ডিসপ্যাচ দেয়ার চেষ্টা করব। এই অভিযানের সমস্ত ডিসপ্যাচ আমার পারসোনাল সাইটে পাবলিশ করা হবে। সেই সাথে প্রথমারের মত আমার পুরো প্রগ্রেস, আমি কোথায় আছি, কোথায় ক্যাম্প করছি, কতটুকু এগোলাম এইসব কিছু রিয়েল টাইম দেখতে পারবেন। এই অভিযান সংক্রান্ত সমস্ত আপডেট https://salehinarshady.com/himalayan-odyssey/ সাইটে পাবেন। 

আগামী ডিসপ্যাচে রোলওয়ালিং, গ্রেট হিমালায়ান ট্রেইল ও 

একা একা কেন এমন অভিযানে আসলাম সেই বিষয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করব। 

এই কঠিন অভিযানে আশা করি সবাই আমার পাশে থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!